বার্তা পরিবেশক:
ঝিলংজার চিহ্নিত প্রতারক ও ভূমি দস্যু ছলিম উল্লাহ প্রকাশ নাগু অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। ১০ জুন বিকেল সোয়া তিনটায় লিংকরোড় বাস স্টেশন থেকে সদর থানা পুলিশের এস আই রাসেলের নেতৃত্ব একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারক নাগুকে গ্রেফতার করে। নাগু বিগত ১৯৯৫-৯৬ সালে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ছিল। ধৃত নাগু ঝিলংজার মুহুরি পাড়ার মৃত আবুল খায়েরের পুত্র।

এদিকে ধৃত প্রতারক নাগু আটক হওয়ার পর বেরিয়ে আসছে তার অভিনব প্রতারণার চাঞ্চল্যকর তথ্য। সে প্রতারণার মাধ্যমে দিনকে রাত করতো। এরকম একটি প্রতারণার শিকার হয়েছেন খোদ ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারদ্বয়। পরবর্তীতে মুহুরী পাড়ার মৃত মোহাম্মদ হোছনের পুত্র জাকের হোছনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন জনের নামে প্রতারক নাগুর মিথ্যা তথ্যে হাতিয়ে নেয়া বেশক’টি ভূঁয়া ওয়ারিশ সনদ ও প্রত্যয়ন পত্র বাতিল করে ঝিলংজা ইউনিয়ন পর্ষদ। ভূক্তভোগী জাকের হোছন জানান, ঝিলংজা মৌজায় স্বত্ব, দখলীয় ৮৮ শতক জায়গার মালিক জাকের, তাঁর দুই ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম ও মিজানুর রহমান। কিন্তু প্রতারক নাগু ঝিলংজার ৩নং ওয়ার্ড জানারঘোনার মৃত বসরত আলীর প্রকৃত ওয়ারিশ সনদ দু’নাম্বারী করে মনগড়া ভাবে জানারঘোনার লোকদের জঘন্যভাবে ৪নং ওয়ার্ড মুহুরী পাড়ার ঠিকানায় জাল ওয়ারিশ সনদ আদায় করে নেয় পরিষদ থেকে। এতেই থামেনি প্রতারক নাগু। ফুলমতির কথিত ওয়ারিশ সাজানো তার চক্রের অপরাপর সদস্যদের কাছ থেকে প্রতারক ছলিম উল্লাহ নাগু নিজের নামে ২২/৬/২০২০ ইং নম্বর ১২৮২,২৯/১১/২০২০ইং নম্বর ৪১২৩ নামীয় দুটি ভূঁয়া পাওয়ার নামা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে প্রতারক নাগু এসব জাল কাগজের ভয় দেখিয়ে জাকের গং থেকে ১২ কোটি টাকা চাঁদা দাবী করে। জায়গার আসল মালিক হতচকিত জাকের, জাহাঙ্গীর, মিজান নাগুর এসব ফেরবী কাগজ ও ওয়ারিশ সনদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে আপত্তি জানালে সর্বশেষ ২৪ মে ২০২২ নাগুর হস্তগত এসব ভূঁয়া, জাল, দু”নম্বরী ওয়ারিশ সনদ বাতিল করলে জায়গার মালিক হাফ ছেড়ে বাঁচেন।
অভিযোগ রয়েছে -ধৃত প্রতারক ছলিম উল্লাহ নাগু মুহুরিপাড়ার মাস্টার মঈনুল ইসলাম গংয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ অফিসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রেল লাইনের প্রায় ১২ কোটি টাকা আদায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
এদিকে চিহ্নিত ভূমি দস্যু, প্রতারক ছলিম উল্লাহ নাগু গ্রেফতারের ঘটনায় স্থানীয় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।